ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, তাঁর
আজীবনের আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতীক্ষার অকুন্ঠ সমর্থক ও
প্রেরণাদায়ী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম
জন্মবার্ষিকী। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস মহিয়সী এই নারীর
জন্মদিন উদ্যাপন করেছে। আজ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন
আহমদ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহিদ সদস্যদের
আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি
উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বানী সকলের উদ্দ্যেশে পাঠ
করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা সারাজীবন
বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও
রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসাবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন,
সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু বহুবার কারাবরণ করেছেন, আর তখন সাহসী
বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে
রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সাথে। আর এজন্যই কোন রাজনৈতিক
পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের
কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান যাতে তাঁর জীবনকর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম,
সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
আলোচনা পর্বশেষে অনুষ্ঠানে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।