ঢাকা,২৮ শ্রাবণ (১২ আগষ্ট):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে ভ্যাকসিনের ব্যাপক
চাহিদার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানালে তিনি দ্রুতই চীনের সিনোফার্মের ছয় কোটি
ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সেই ছয় কোটি
ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সময়মতো টাকা ছাড় দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এখন ধাপে
ধাপে ক্রয়কৃত সিনোফার্মের ছয় কোটি টিকা দেশে আসতে থাকবে। অন্যান্য মাধ্যমেও আমাদের
আশানুরূপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে চলমান টিকা কার্যক্রমের গতি
চলমানই থাকবে।
আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্রান্ড বল রুমে, সিডিসি ও বাংলাদেশ সোসাইটি অভ্
মেডিসিন কর্তৃক আয়োজিত করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে
বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে
পারলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ কারণে এখনই
আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন
করেছে। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সবাইকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় বিরোধী
দলের কাউকেই মানুষের পাশে দেখিনি। শুধু টেলিভিশনে বসে সমালোচনা করতে দেখেছি। সমালোচনা
করা অনেক সহজ। কাজ করা কঠিন। আজ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারগণ আক্লান্ত পরিশ্রম করে
যাচ্ছেন। শুধু করোনার চিকিৎসা নয়, অন্য রোগীর চিকিৎসাও দিচ্ছেন তারা।
ডেঙ্গু যেন না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরো
বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন
না হয় সেজন্য সকলকেই কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অভ্ মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.
মোহাম্মদ বিল্লাল। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক
শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব এম এ আজিজসহ
অন্যান্য কর্মকর্তারাগণ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির
মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।