ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে
জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ।
আজ ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য
সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা: সুনীল
অর্থনীতি ও রূপকল্প ২০৪১ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মন্ত্রী একথা জানান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ সেমিনার
আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেস্ট ডিপ্লোমেসির মাধ্যমে বাংলাদেশের
প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমায় দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমুদ্র দেশের
সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সম্ভার। সমুদ্রে থাকা জলজ সম্পদ তথা প্রচলিত বা
অপ্রচলিত মাছ, সীউইড সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারলে এগুলো বহির্বিশ্বে রপ্তানির
ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় যোগান হবে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হলে প্রচলিত
মৎস্য, অপ্রচলিত মৎস্য এবং সীউইডকে পরিচর্যা করে এ ক্ষেত্রকে উপযুক্ত করে নিয়ে
আসতে হবে। সামুদ্রিক এ মৎস্যসম্পদ দেশের খাদ্য ও পুষ্টির যোগানের পাশাপাশি
রপ্তানির মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
রেজাউল করিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা
পরবর্তীতে দূরদৃষ্টি দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনকারী সম্পদ। একসময় নানা কারণে দেশে মাছের সংকট দেখা দিয়েছিল। সে জায়গা
থেকে গবেষণা ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ৩১ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ সরকার ফিরিয়ে
এনেছে। সরকারের সঠিক ভূমিকা ও ব্যবস্থাপনার কারণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ আহরণে সরকার গভীর সমুদ্রে
টুনা ও সমজাতীয় মাছ অহরণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইলিশ ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা
প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চলসহ ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে
স্থান উপযোগী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মৎস্য খাতে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখার সুযোগ রয়েছে।