ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ওজোন দিবস
২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২১’ পালিত হচ্ছে
জেনে আমি আনন্দিত। পৃথিবীর সকল জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং সর্বোপরি
মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এ দিবস
উদ্‌যাপন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে পৃথিবীর
বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাণিজগতের অস্তিত্ব
রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পের বিশেষ করে
শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড়ো ভূমিকা রাখে।
ওজোনস্তর রক্ষায় ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘ গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকল এক যুগান্তকারী
পদক্ষেপ। বিগত ৩৫ বছরে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী
দ্রব্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।
ওজোনস্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও এ প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান
রাখছে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধ সামগ্রী সংরক্ষণে ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও
হিমায়ন যন্ত্রে উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়া করোনা
মহামারি মোকাবিলায় প্রতিষেধক সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির হিমায়ন যন্ত্রের গুরুত্ব
অপরিসীম। এ প্রেক্ষাপটে এবারের ওজোন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Montreal Protocol-Keeping us,
our food and vaccines cool’ অর্থাৎ ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি-নিরাপদ
খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ওজোনস্তরের সুরক্ষায় সিএফসি গ্যাস নির্ভর শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে
জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। পৃথিবীর সকল জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং
সর্বোপরি মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে
বিশ্ব ওজোন দিবস উদ্‌যাপন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
আমি ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা
করছি।

জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”