নিউইয়র্ক, (১৯ অক্টোবর) :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন
নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন স্মরণে শেখ রাসেল দিবস-২০২১
উদ্যাপন করা হয়। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক
দূরত্ব মেনে স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল
স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অত:পর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় । এরপর শেখ
রাসেল-এর জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী
প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শহিদ শেখ রাসেল এর জন্ম দিবসকে ‘ক’
শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও
প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা
শেখ রাসেল সমন্ধে আরো জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন
ভবিষ্যৎ নাগরিকে পরিণত করবে। শহিদ শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি
আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম
হত্যাকান্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন “ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু
রাসেলকেও রেহাই দেয়নি”। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে
বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন,
বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচার আওতায় আনতে সকলকে একযোগে
কাজ করতে হবে।
কেক কাটার মাধ্যমে শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত
অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।