ঢাকা, ১৬ কার্তিক (১ নভেম্বর) :

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ
রূপান্তরের অভিযাত্রায় জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে দেশের টেলিকম খাতের অর্জন এখন
ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল
সংযুক্তি সহায়তায় বাংলাদেশ তার সক্ষমতার অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই সময়ে
বিটিসিএল এর অনন্য ভূমিকার তিনি প্রশংসা করেন। বিটিসিএল কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর
একদিনে ১৫২টি ভিডিও কনফারেন্স ত্রুটিহীনভাবে সম্পন্ন করার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে
মন্ত্রী বলেন, সরকার ও দেশের জনগণ বিটিসিএল বা টেলিটকের কাছে আরও অনেক বেশি
প্রত্যাশা করে। মন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে বিশ্বে অতীতে বাংলাদেশের
মতো তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করা পশ্চাদপদ দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ
করেন। এমনকি উক্ত দেশগুলোও বাংলাদেশ থেকেও শিক্ষা নিতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য
করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিসিএল সম্মেলন কক্ষে বিটিসিএল এবং বাংলালিংক ডিজিটাল
কমিউনিকেশন্স এর মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন-
লাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন,
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-
এর চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অ্যাস
বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ
অগ্রযাত্রায় বিটিসিএল বাংলালিংক চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বিটিসিএল ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটর টেলিটক. গ্রামীণফোন ও রবিকে বিভিন্ন
টেলিকম সেবা প্রদান করে আসছে। এনটিটিএন রিসোর্স শেয়ারিং, আইআইজি ব্যান্ডউডথ ও
ডাটা কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বিটিসিএল দেশের সমস্ত মোবাইল অপারেটর. সরকারি
প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেট সেক্টরে মানসম্মত সেবা প্রদান করে আসছে। এরই
ধারাবাহিকতায় বাংলালিংকের সাথে এই সব সেবা সংক্রান্ত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।

বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলালিংক সিইও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের
পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।