ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“আজ শহিদ নূর হোসেন দিবস। এ দিবসে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নূর হোসেনসহ
গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন।
১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার
নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন
১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। নূর হোসেন আমার গাড়ীর সাথে সাথে হাঁটছিল,
মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে
প্রথমে বোমা মারে এর পরই গুলি করে, সে গুলিতে নূর হোসেন ও বাবুল নিহত হয়। ফাত্তাহ
BDR -এর গুলিতে গ্রিন রোডে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহিদ হয়। তাঁদের এ মহান
আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলকে বেগবান
করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
স্বৈরাচারী সরকারের পতন আরো ত্বরান্বিত হয়।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি
দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে
স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের
অধিকার।

আমি নূর হোসেনসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাঁদের
শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”