ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৬ ডিসেম্বর) :

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন একটি আধুনিক ধারণা।
সংগঠনটি ভবিষ্যতে বিগত সময়ের চেয়েও বেশি সাফল্য লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জয়িতার পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে আন্তর্জাতিক বাজারে জয়িতার নেটওয়ার্কের
মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বাজারজাত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত জয়িতা ফাউন্ডেশনের ১০ম বছর পূর্তি
উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম ও সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত
বক্তব্য রাখেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন
নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলে তাদেরকে
সম্মানজনক অবস্থান নিয়ে আসতে এই ফাউন্ডেশনকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১ ডিসেম্বর ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন। যা হবে দেশের নারী
উদ্যোক্তাদের স্থায়ী ঠিকানা। বারোতলা বিশিষ্ট ‘জয়িতা টাওয়ার’ এর অবকাঠামোগত সুবিধা নারী
উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। তিনি বলেন, জয়িতার কার্যক্রম দেশব্যাপী নারী
উদ্যোক্তাদের তৈরিপণ্য বিপণন ও একটা ব্রান্ডিং সৃষ্টি করছে। যা দেশের সকল প্রান্তের নারীর
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছিল পঁয়ত্রিশ জন জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের
তৈরিপোশাক ও খাদ্য সামগ্রীর সাতান্নটা স্টল।