ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিবাহরোধ করে কিশোরী
স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় নিয়মিত কর্মশালা
আয়োজন করা হচ্ছে। কেননা, বাল্যবিবাহ কিশোরী মেয়েদের জীবন ও স্বাস্থ্যের প্রতি ঝুঁকি
তৈরি করে। সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকায় এসকল কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন।
স্পিকার আজ এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়
অনুষ্ঠিত ‘কিশোরী স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ’ কর্মশালায়
ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরী স্বাস্থ্যসুরক্ষা, বাল্যবিবাহরোধ,
নারীর সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বহুমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দেশে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যথাযথ আইন ও এর প্রয়োগ আছে। সরকার উপবৃত্তির ব্যবস্থা
করেছে, যার মাধ্যমে পরিবার ও অভিভাবকদের নারীশিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীশিক্ষার বিস্তার ঘটেছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জায়গাটি
প্রধানমন্ত্রী সুসংহত করেছেন। ঘরে-বাইরে নারীরা আজ প্রতিষ্ঠিত। বর্তমান যুগে মেয়েরা
আর বোঝা নয়, তারা দেশের সম্পদ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে আইনি কাঠামোর
পাশাপাশি দরকার সামাজিক সচেতনতা, এই সচেতনতা তৈরির জন্য এ ধরনের কর্মশালা
গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। কেননা,
নারীরা আজ যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষতার সাথে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে
চলেছে। কোভিডকালীন নারীদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে নারীদের
এগিয়ে নিতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাসান ইমাম খাঁনের সভাপতিত্বে এবং সংসদ
সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, উম্মে কুলসুম
স্মৃতি এবং সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । অনুষ্ঠানে
সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।