ইমাম হোসেন, যশোর, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি):
বাঘার পাড়ায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প, অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দিন। উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে না তৈরি সামগ্রি এমন চিত্র দেখা যায় বাঘার পাড়া নারীকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন গ্রামঃ খানপুরএখানকার সকল মৃৎ শিল্পীরা সনাতন ধর্মের, সকলেই পাল বা কুমোর সম্প্রদায়। এদের মধ্যে স্বপন পাল পরিবারের চার জন সদস্য নিয়ে একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম এই মাটির তৈরি সামগ্রী এখন আর তেমন বিক্রি হয়না।
উৎপাদন খরচের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দামে। জানাগেছে দশটি মাটি ছোট পাত্র তৈরি করতে একশ টাকার মাটি , ত্রিশ টাকার রং ও পোড়ানোর জন্য একশত টাকার কাঠের প্রয়োজন হয়। দশটি পাত্র তৈরি করতে দুইশত ত্রিশ টাকা খরচ আর শিল্পীদের নিজেদের মুজুরী তো আছেই। প্রতিটা পাত্র বিক্রি হয় দশ থেকে বিশ টাকা, হিসেব করলে দেখা যাই কোন লাভ নেই মুজুরীটাও পায়না এখনকার পাল মশায় রা। সকলে চাই কোন না কোন ভাবে সহয়তা। উৎপাদন খরচ চেয়ে বিক্রি হচ্ছে কম দামে। প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে এই শিল্প পরিবারের দিন রাত।
শালিখা উপজেলা থেকে হরিপুর, কাঁঠাল বাড়ীয়া গ্রাম থেকে তাপস পালসহ অনেকে মাটির ঠিলা বিক্রির জন্য নারিকেলবাড়িয়া প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাটে আসে কিন্ত বিক্রি হয় ঠিলা প্রতি ত্রিশ টাকা কিন্ত এতে কোন লাভ নাই।
তাপস পাল জানান, পরিবারের দুটি সন্তান সহ মোট চার জন সদস্য। প্রতিদিন তিন চার শত টাকা সংসার পরিচালনা করতে প্রয়োজন হয়। সে তুলনায় তাদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে না। মাটি, রং, কাঠ কিনে একটি তৈরি পাত্র বিক্রি করে কোন মুনাফা অর্জন হয় না। সবি লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তাদের কোন জমি জমা নেই। অন্য আয়ের উৎস নেই তিনি জানান সরকারী ভাবে সহয়তা প্রদান করলে তাঁরা বেঁচে থাকতে পারতেন এবং এই শিল্প টা বেঁচে থাকবে।