ঢাকা, ২৬ ফাল্গুন (১১ মার্চ) :

ফিলিপাইন উন্নত মানের রপ্তানিযোগ্য আনারসের জাত এমডি-২, জি-নাইন কলা, ডেলমন চা
এবং মাকাপুনো নারকেল উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ও
ফিলিপাইনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া-
প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের সমাপনী দিনের সেশন শুরুর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর
রাজ্জাক এর সাথে ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী উইলিয়াম ডি. ডারের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত
হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ফিলিপাইন থেকে এমডিটু জাতের ৩ লাখ আনারসের চারা এনে চাষ শুরু
করেছে। ৪ লাখ চারা নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। আগের চেয়ে আরো কম দামে ও সহজশর্তে এ জাতের
আনারসের চারা বাংলাদেশকে দেয়ার কথা জানান ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া, রপ্তানিযোগ্য
সুস্বাদু জি- নাইন কলা, চা ও ধান চাষসহ কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সইয়ে
সম্মত হন দুইমন্ত্রী।

ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
পলিটিকাল উইল অ্যান্ড কমিটমেন্ট খুবই প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি, অর্থনীতি ও
মানবসম্পদ এখন শক্ত অবস্থানে আছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ থেকে আমের
জাত ও ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ব্রি ধান-৮৯ নেয়ার জন্য ফিলিপাইনকে আহ্বান জানান এবং
ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস চাষের অভিজ্ঞতা জানতে চান। ফিলিপাইনের মন্ত্রী জানান, তাদের
অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে বিনিময় করবে।

শ্রীলংকার কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশে চা ও দারুচিনি রপ্তানি করে, বার্টার পদ্ধতিতে বাংলাদেশের
আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, চীনের সাথে তাদের বার্টার সিস্টেম চালু আছে।
এরপর লাওসের কৃষি উপমন্ত্রী থংপাথ ভংমানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কৃষিমন্ত্রী ড.
আব্দুর রাজ্জাক। এসময় আপদকালীন চাল সংকট মোকাবিলায় লাওস থেকে আমদানি করার
আগ্রহের কথা জানালে সহযোগিতার আশ্বাস দেন থংপাথ ভংমানি।

কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার এসময়
উপস্থিত ছিলেন।