ঢাকা ৬ বৈশাখ, (১৯ এপ্রিল) :

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম  বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তিনি দেখতে চেয়েছিলেন দেশের কৃষি ও কৃষকের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন এবং স্বনিভর্রতা। একারণে স্বাধীনতার পর তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশের কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের প্রদত্ত সুবিধা ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য কৃষির সমৃদ্ধ অনস্বীকার্য।

আজ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলার নড়িয়ায় উপজেলা কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। এ দেশের দরিদ্র কৃষকদের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার ভরতুকি দিয়ে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে সারের জন্য ২০ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। ঐ সময় সার আর ডিজেলের জন্যে হাহাকারে সময় কেটেছে কৃষকের। বর্তমান সরকার পাঁচ দফায় সারের মূল্য কমিয়েছেন। সরকার প্রতি বছর সারে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভরতুকি দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ, ভরতুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র সরবরাহ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে শোষিত-নিপীড়িত কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য কৃষক লীগ গঠন করেছিলেন। কৃষক লীগ দেশের অনেক অর্জনের অংশীদার। তাই আগামী নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনতে কৃষক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী আরো সুদৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

নড়িয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিক হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি বাদশা শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, দপ্তর সম্পাদক মাস্টার শাহআলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গাজী মনির হোসেন ও সহ-প্রচার সম্পাদক লিমন বেপারী।