ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :
আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিলো, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট
টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি রেডিও ছিলো না,
এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও এবং ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার
সংখ্যা সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ১২শ’তে উন্নীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত হাজার সেটি পরীক্ষা-
নিরীক্ষার বিষয়, তবে আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। আমরা
গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে কাজ করছি। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করে,
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যেভাবে বিকাশ হয়েছে, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।’
‘আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনও পাশে ছিলাম, এখন
মন্ত্রী হিসেবে পাশে আছি, সবসময় তো কেউ মন্ত্রী থাকে না, তখনও আমি আপনাদের পাশে থাকবো’
বলেন ড. হাছান।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু তার শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন, যতদিন বাংলাদেশ
থাকবে ততদিন দেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অগ্রণী ভূমিকা রেখে
এগিয়ে যাবে।
এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং
ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বক্তৃতাপর্ব শেষে বর্ণাঢ্য র্যালিতে যোগ দেন
মন্ত্রী। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম
হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহ্মুদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ২৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি
ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড়
সাফল্য বলে আমি মনে করি। আশা করি আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ
থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র বিকশিত
হয়, সমাজ বিকশিত হয়, উপকৃত হয়। সেই কথাটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশে
গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে।