ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’
প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ থেকে ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত
চলবে।
আজ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
খাওয়ানোর মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২২ এর উদ্বোধনকালে
মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ লাখের
অধিক শিশুকে নীল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১
কোটি ৯৬ লাখের অধিক শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো
হবে। এছাড়া জন্মের পর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস
শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
খাওয়ানো হবে। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই
কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে। ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নকে দুর্গম
এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া শিশু
অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এই ভিটামিন-এ প্লাসের গুণাগুণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের
স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি
কমায়। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখে ফলে শিশু রাতকানা রোগ
থেকে রক্ষা পায়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ
আলম, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক
অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস. এম.
মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।